বাংলা নববর্ষ উদযাপন ১৪২৬

পায়ে পায়ে পুরাতন সব হাসি কান্না পেছনে ফেলে, নতুন আশার ছন্দে পা ফেলে আবির্ভাব নতুন বছরের। বাঙালির ১২ মাসের সূচনা তাই তেরো পার্বণের সাথে। প্রতি বছরের মতো এবছরও আমরা কচি-কাঁচারা মেতে উঠেছিলাম বৈশাখী আয়োজনে। কচি-কাঁচাদের আয়োজন মানেই এক রাশ আড্ডা, আনন্দ উৎসব, সাংস্কৃতিক আয়োজন আর খাওয়া দাওয়া। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

গানের সুরে, নৃত্যের তালে, ছন্দে আনন্দে বৈশাখকে বরণ করে নেয় কচি-কাঁচার মেলার ভাইবোনেরা।

পুরাতন সব জীর্ণতাকে পেছনে ফেলে বোশেখের আগমনী ঘ্রানে গত ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার সকাল দশটায় কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলায় আয়োজন করা হয়েছিল মেলার ভাই বোনদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভার। আমাদের এবারের বৈশাখী আয়োজনে সম্মাননীয় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বাচনিক শিল্পী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রুপা চক্রবর্তী। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার সম্মাননীয় সহ-সভাপতি খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান ও মেলার প্রবীণ সদস্য ফাতেমা সাইফুল বীনু। শিশু বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখে মেলার ছোট্ট বোন সাইরি ইসলাম এবং সভাপতিত্ব করে মেলার ছোট্ট ভাই সম্মিত ঋদ্ধম।

আলোচনা পর্বের পর কচি-কাঁচার মেলার সুরবিতান, নৃত্যবিতান এবং কথাবিতানের ভাইবোনেরা নাচে গানে আনন্দে শেষ করে বৈশাখী অনুষ্ঠান।

পুরোনো দুঃখ দৈন্যতা ভুলে নতুন উদ্দীপনায় জীবন রাঙাতে কচি-কাঁচাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।🌸🌸

ঐতিহ্যমন্ডিত আনন্দময়তায় নববর্ষবরণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলায় প্রতিবছরের মত এবারেও  আনন্দানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পহেলা বৈশাখ ১৪২৬, চৌদ্দই এপ্রিল ২০১৯ রবিবার সকাল দশটায় ৩৭/এ সেগুনবাগিচাস্থ কচি-কাঁচা প্রাঙ্গণে এবং মিলনায়তনে কচি-কাঁচার মেলার শিশু-কিশোর, তরুণ-প্রবীণ সদস্যদের অংশগ্রহণে আলোচনাচক্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিঠামেলার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলার ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য, বিশিষ্ট কবি কামাল চৌধুরী। আলোচনায় অংশনেন মেলার সভাপতি খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, মেলার ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য, বম্বে সুইট্স-এর হেড অব মার্কেটিং শ্রী ডি.ডি. ঘোষাল, মেলার সহ-সভাপতি খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, মেলার প্রবীণ সদস্য আমজাদ হোসেন এবং মেলার ছোটবোন উষষি দিব্যাংশু তমঘ্ন মহিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে মেলার কর্মীবোন নুসাইবা হাসিন অঙ্কন। উৎসবে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রান্না বিশেষজ্ঞ লবি রহমান এবং রিমা জুলফিকার, পুষ্টিবিদ আক্তারুন্নাহার আলো।

অনুষ্ঠানের শেষাংশে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা পরিচালিত কথাবিতান, সুরবিতান ও নৃত্যবিতানের ভাইবোনেরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।